দাঁদ:
আমাদের দেশে এই রোগের সংখ্যা প্রচুর। সাধারণত দূষিত পরিবেশে এ রোগ দ্রুত সরায়। শরীরের কোন স্থান আক্রান্ত হলে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি অন্য মানুষের শরীরে ছড়ানো ও অযৌক্তিক কিছু নয়। বিশেষ করে খাল, বিল, নদী-নালার নোংরা পানি দ্বারা এ রোগের বিস্তার ঘচট। প্রদাহজনিত এই চর্মরোগ চামড়া, চুল এমন কি আঙ্গুলের নখে ও হয়ে থাকে। এক একটি স্থানের ইনফেকশনের জন্য এক এক রকম নামকরণ করা হয়ে থাকে। এটা যুবক এবং বয়স্ক লোকদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। কাপড়ের দ্বারা ও এ সংক্রমণ হয়ে থাকে, যেমন- মোজার মাধ্যমে, শার্টের দ্বারা বগলে, মেয়েদের পেটিকোটের বাঁধন বরাবর।
দাঁদের লক্ষণ:
১. আক্রান্ত স্থান চুলকায় এবং গোলাকৃতি হয়ে ফুলে উঠে।
২. ক্ষত সৃষ্টি হয় এবং চারপাশে রিং এর মতো ঘামাচি ওঠে।
৩. ক্ষত হতে আঠালো কষ বের হয়।
৪. পেটের চামড়ায় বিশেষ করে পেটিকোটের ফিতা বাঁধার স্থান চুলকানোর পর বেশ সময় ধরে জ্বলে।
৫. আক্রান্ত স্থানে দানা দানা মতন দেখা যায়।
৬. ইনফেকশনের ঘা একটু শুকিয়ে পুনরায় আবার দেখা দেয়।
৭. শুকনা হলে ক্ষতের উপরে সাদা সাদা দেখা যায়।
দাঁদ নিরাময়ে একক ভেষজ:
১. দাঁদ আক্রান্ত স্থানে ঘি মাখিয়ে ওল ঘষলে উপকার হয়।
২, কলমি শাকের কুঁড়ি আক্রান্ত স্থানে বেটে লাগালে উপকার হয়, এলার্জি দেখা দিলে ব্যবহার করা যাবে না।
৩. আক্রান্ত স্থানে শ্বেত চন্দনের প্রলেপ মাখলে শিগগিরই উপকার পাওয়া যায়।
৪. আক্রান্ত স্থানে রসুনের কোয়া অন্তত ৫ মিনিট ঘষতে হবে গোসলের আগে ও রাতে ঘুমানোর আগে।
৫. তুলসী পাতার রসে একটু লবণ মিশিয়ে দাঁদে লাগালে উপশম পাওয়া যায়
৬. মডার্ণ হারবাল ফুডের নিম তেল নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে লাগালে দাঁদ সেরে যায়।